দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অগ্ৰগতি খতিয়ে দেখতে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারী

4th December 2020 9:02 pm বর্ধমান
দুয়ারে সরকার প্রকল্পের অগ্ৰগতি খতিয়ে দেখতে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারী


পিন্টু প‍্যাটেল ( বর্ধমান ) :  দুয়ারে সরকারের চতুর্থদিনে ক্যাম্প সরজমিনে দেখতে বর্ধমানে এলেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায়। ক্যাম্পের কাজকর্ম ও মানুষের আগ্রহ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। তবে ক্যাম্পে সামাজিক দূরত্ব বিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার তিনি কলকাতা থেকে সোজা যান পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। সেখানে তিনি ভাতারের নাসিগ্রামের স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।স্টেডিয়ামের কাজকর্ম কি ভাবে হবে সেই বিষয়ে তিনি সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।তারপর তিনি যান ভাতারের বড়বেলুন ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের  বড়বেলুন মোহিনীমোহন  উচ্চ বিদ্যালয়ে।সেখানে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।  সহায়তা শিবির পরিদর্শনে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ  রায়ের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, ভাতার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তপন সরকার সহ প্রশাসনের  আধিকারিকরা।  এরপর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায় যান সার্কিট হাউসে। সেখানে জেলাশাসক এনাউর রহমান ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।আধ ঘন্টার বৈঠক শেষে  তিনি যান বর্ধমান শহরের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প টাউনহলে।সেখানে তিনি উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন ক্যাম্পের ব্যবস্থপণা নিয়ে।তিনি ক্যাম্পের কর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন পরিকাঠামো নিয়ে।তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক এনাউর রহমান। 
প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায় বলেন আগ্রহী মানুষজনের ভিড় চোখে পড়লো ক্যাম্পগুলিতে।প্রতিটা ক্যাম্পেও প্রচুর লোকজন হাজির হচ্ছেন। রেশন কার্ড নিয়ে মানুষের ক্ষোভ নিয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এইসব জানতেই তো ক্যাম্প পরিদর্শন করা। তবে জেলাশাসক এনাউর রহমানকে  সামাজিক দূরত্ব বিধি নিয়ে জিজ্ঞেস করায় তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।তিনি বলেন মানুষের আগ্রহ আছে।তাই এত মানুষজন ক্যাম্পে হাজির হচ্ছেন।  ভাতারের বড়বেলুন থেকে বর্ধমানের টাউনহল সব জায়গাতেই একই ছবি।বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় বা মানা কার্যত শিকেয়। টাউনহলে এদিন বিশাল লম্বা লাইনে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে মানুষজন দাঁড়িয়ে ছিলেন।রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে জেলাশাসক এনাউর রহমান কিছু বলতে অস্বীকার করেন।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।